Brain tumor 🧠 সর্ম্পকে জানুন

 টিউমার হল শরীরের অস্বাভাবিক কোষ বিভাজন। এক্ষেত্রে শরীরে যে কোনও অংশে টিউমার হতে পারে। এমনকী দেখা গিয়েছে যে মাথায়ও হতে পারে ব্রেন টিউমার (Brain Tumor)। তাই সতর্ক হয়ে যেতে হবে।

টেনটোরিয়াম নামক একটি পর্দা দিয়ে আমাদের ব্রেন বা মস্তিষ্ক দুটি প্রকোষ্ঠে বিভক্ত—ওপরের প্রকোষ্ঠ ও নিচের প্রকোষ্ঠ। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ওপরের প্রকোষ্ঠে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ টিউমার হতে পারে এবং নিচেরটিতে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। আর শিশুদের ক্ষেত্রে ওপরের প্রকোষ্ঠে ৪০ শতাংশ এবং নিচেরটিতে ৬০ শতাংশ টিউমার হতে পারে।

Brain Tumor প্রধানত দুই ধরনের।

১. Benign tumor, যা ক্যানসার নয় এবং

২. Malignant tumor  বা ক্যানসার–জাতীয় টিউমার।

ম্যালিগন্যান্ট বা ক্যানসার–জাতীয় টিউমার আবার দুই ধরনের।

১. প্রাথমিক ম্যালিগন্যান্ট, যা মস্তিষ্কের মধ্য থেকে উৎপত্তি হয়ে থাকে।

২. মেটাস্টেটিক, যা শরীরের অন্য জায়গায় উৎপন্ন হয়ে মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়ে।

কারণ:

Brain  tumor বিভিন্ন কারণের জন্য হতে পারে। Brain  tumor তখনি হয় যখন মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কোষগুলির ডিএনএ-তে কোনো ত্রুটি থাকে। শরীরের কোষগুলো ক্রমাগত বিভক্ত হয়ে যায় এবং মরে যায়। যার পরিবর্তে অন্য কোষ সৃষ্টি হয়। অনেক ক্ষেত্রে নতুন কোষ সৃষ্টি হয়ে যায় তবে দেখা যায় পুরনো কোষগুলো সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট হয় না। যার ফলে এই কোষগুলো জমাট বেঁধে টিউমারের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার অনেক সময় বংশগত কারণে ব্রেন টিউমার হয়ে থাকে। অর্থাৎ বাবা, মা বা আত্মীয় কারো ব্রেন টিউমার থাকলে।

মানবশরীরে কিছু জিন আছে, যা টিউমার হওয়ার প্রক্রিয়াকে প্রতিরোধ করে। এদের বলে টিউমার সাপ্রেসর জিন। কোনো কারণে টিউমার সাপ্রেসর জিন যদি যথাযথ কাজ না করে, তাহলে ব্রেন টিউমার হয়ে থাকে।

লক্ষণ

 Brain Tumor এর প্রাথমিক লক্ষণ মাথাব্যথা ও চোখে ঝাপসা দেখা। তবে মাথাব্যথা মানেই ব্রেন টিউমার নয়। সাধারণত মাথাব্যথার ১ শতাংশেরও কম কারণ হলো Brain Tumor 

আসলে Brain Tumor এর একদম প্রথমে কোনও অসুবিধা থাকে না বললেই চলে। তবে টিউমার বড় হতে থাকলে সমস্যা দেখা যায়। এক্ষেত্রে টিউমার বড় হলে খুলির ভিতরে জায়গা কমতে থাকে। তাই লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে দেয়।

Brain Tumorএর জন্য যে মাথাব্যথা হয়, তা সাধারণত খুব ভোরে শুরু হয়। সঙ্গে খিঁচুনি হতে পারে। খিঁচুনি সাধারণত হাতে বা পায়ে বা অন্য কোনো স্থান থেকে শুরু হয়ে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এই মাথাব্যথা কিছুতেই যেতে চায় না।

মস্তিষ্কের ভেতর পিটুইটারি গ্ল্যান্ডে টিউমার হলে রোগীর দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। রোগী সামনের অংশটুকু ভালো দেখতে পেলেও দুপাশে দেখতে পান না এবং একপর্যায়ে অন্ধ হয়ে যান।

ব্রেনের সামনের অংশে বা ফ্রন্টাল লোবে টিউমার হলে রোগীর স্মৃতিশক্তি কমে যায়। তিনি অস্বাভাবিক আচরণ করেন। দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যায়।

মটর এরিয়ায় টিউমার হলে যেদিকে টিউমার তার উল্টো দিকে প্যারালাইসিস হয়ে থাকে।

মস্তিষ্কের খুলির নিচের প্রকোষ্ঠে টিউমার হলে রোগী হাঁটতে গেলে পড়ে যান বা ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। কানে ঠিকমতো শোনেন না। কথা স্পষ্ট করে বলতে পারেন না।

টিউমার বেশি বড় হয়ে গেলে রোগীর হঠাৎ মৃত্যুও হতে পারে।

নির্ণয়

Brain Tumor শনাক্তে এমআরআই করতে হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সিটি স্ক্যান করতে হয়।

প্রতিরোধ

Brain Tumor প্রতিরোধ করার সুনির্দিষ্ট কোনো উপায় নেই। তবে ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে।

তেজস্ক্রিয় বিকিরণ যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে। যেমন মুঠোফোনের ব্যবহার কমানো। তেজস্ক্রিয় স্থান বা উৎস থেকে দূরে থাকা।

খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিলে এবং নিয়মিত প্রচুর ফলমূল ও শাকসবজি খেলে ক্যানসার থেকে দূরে থাকা যায়।

তবে Brain Tumorএর প্রাথমিক অবস্থায় হোমিও ঔষধ খুবই কার্যকরী। ব্রেন টিউমার সহ শরীরের প্রায় সকল স্থানের টিউমারের চিকিৎসা ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি ওষুধ খুবই সফলতার সাথে ব্যবহার হয়ে আসছে।।

আলহামদুলিল্লাহ বিভিন্ন টিউমারের রোগীরা সঠিক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা দ্বারা আশানুরূপ ফল পাচ্ছেন।

সবাই সুস্থ থাকুন,ভালো থাকুন 💝