Hair fall & solution ( Dr. Jenny)

 চুল পড়া সমস্যার সমাধান 



প্রায় ই বেশিরভাগ মানুষ কম বেশি চুল পড়া সমস্যা নিয়ে ভোগেন।
প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ টি হেয়ার ফল হওয়া স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার অংশ তাই চুল আঁচড়ানোর সময় চিরুনিতে চুল দেখেই আঁতকে উঠার দরকার নেই।
তবে যদি অস্বাভাবিক হারে হেয়ার ফল হতে থাকে তখন  এর প্রতিকারে ব্যবস্থা করা উচিত  নচেৎ আমরা স্বাভাবিক মানবীয় সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলবো চুল পড়া প্রতিকার বা প্রতিরোধের জন্য আগে আমাদের জানতে হবে চুল কেন পড়ছে??
কারণ:
 #ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ।
#অপুষ্টির জনিত কারণ ।
#ভুল ডায়েট ।
#মাথার তালুতে ব্লাড সার্কুলেশন কম হওয়া ।
#মানসিক চাপ।
# হরমোন জনিত কারণ ।
#কেমোথেরাপি দিয়া ।
# ভেজা চুল  আঁচড়ানো।
#স্ট্রেটনার ও কেমিক্যাল সামগ্রী ব্যবহার। 
#অপরিষ্কার চুল এবং উকুন।
# ঘন ঘন শ্যাম্পু পরিবর্তন করা  বা নিম্নমানের শ্যাম্পু ব্যবহার করা।
# খুশকি  অথবা scalp এ চর্মরোগ থাকা। 
প্রতিকার ও প্রতিরোধ:
হেয়ার ফল সমস্যা নিয়ে রোগীরা আমার কাছে আসলে আমি শুধুমাত্র রোগীদের মেডিসিন প্রেসক্রাইব করি না, সে সাথে রোগীর হেয়ার ফলের কারণ অনুযায়ী তাদেরকে আমি চুল ঝরে পড়ার প্রতিকার ও প্রতিরোধের ব্যবস্থা মেনে চলতে বলি। আজ আমি হেয়ার ফলের জন্য আপনাদেরকে যে সকল পরামর্শ দিব সেগুলো হল

১.  ওষুধ সম্পর্কে জানুন :
কোন ঔষধ সেবন করার পর যদি অতিমাত্রায় হেয়ার ফল হতে থাকে তবে যে চিকিৎসকের পরামর্শ বা প্রেসক্রিপশন ফলো করছেন সেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রয়োজনবোধে তিনি ওষুধ পরিবর্তন করে দিবেন।

ডায়েটের পরিবর্তন আনুন:
 যারা মেদ কমাতে ডায়েট করছেন তাদের মেনু্তে যদি ক্যালরি যুক্ত খাবার একেবারেই না থাকে তাহলেও আপনার চুল পড়তে পারে ।সে ক্ষেত্রে আপনার ডায়েট মেনুতে পরিবর্তন আনুন। ওজন কমাতে গিয়ে চুল কমে গেলে উল্টো সৌন্দর্য কমে যাবে।

স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট করুন:
আমাদের সকলের লাইফেই কম বেশি মেন্টাল স্ট্রেস থাকে, সেগুলো এড়িয়ে চলতে আপনি নিয়মিত প্রার্থনা, যোগব্যায়াম, হাঁটা, যোগাসন বা ধ্যান এসব আপনার প্রতিদিনকার রুটিনে রাখতে পারেন।

সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস করুন :
আপনার দৈনিক খাদ্য মেনুতে যেন ভিটামিন এ ভিটামিন এবং আয়রন থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন া সেই সাথে হাই প্রোটিনযুক্ত খাবার খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।
সেই সাথে আরেকটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে নিয়মিত কোষ্ঠ পরিস্কার হচ্ছে কিনা। অতিরিক্ত ফাস্টফুড বা বাইরের ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন।

তেল মেসেজ করা :
মাথার চুল ও তালুতে নিয়মিত তেল ম্যাসাজ করুন। নারকেল তেল ব্যবহারের পূর্বে তেলটা একটু গরম করে নিলে ভালো হয়।

ভেজা চুল আঁচড়ানো পরিহার করুন:

ভেজা চুল আঁচড়ালে চুল অনেক ছিড়ে যায় চুল পড়া বেড়ে যায় তাই ভেজাবস্থায় চুল আঁচড়াবেন না।

শক্ত করে চুল বাঁধবেন না:
খুব টাইট করে চুল বাঁধবেন না গোসলের পর গামছা বা টাওয়েল দিয়ে চুল শক্ত করে পেচিয়ে রাখবেন না।


কেমিক্যাল সামগ্রী ব্যবহার করবেন না:
বেশিরভাগ রোগীরা তাদের চুলের যে সর্বনাশটা করে আমাদের কাছে আসে সেটা হলো অতিমাত্রায় চুলে কেমিক্যাল ব্যবহার করা এবং চুলে কালার করা।
হেয়ার স্ট্রেটনার ব্যবহার করা কমিয়ে দিন।


খুশকি বা scalp এ চর্মরোগ থাকলে তার ট্রিটমেন্ট নিন:

রোগীরা আমাদের কাছে আরেকটা কমন সমস্যা নিয়ে আসে সেটা হল scalp  এখুশকি বা চর্মরোগ থাকা। সেক্ষেত্রে আমরা চুল পড়ার রোগীকে মাথার খুশকি এবং মাথার ত্বকের চর্ম রোগ ভালো হওয়ার জন্য মেডিসিন এপ্লাই করি ।আর যখন রোগীর মাথার ত্বক সুস্থ হয়ে যায় তখন রোগীর চুল পড়া এমনিতেই অনেকাংশে কমে যায়।

মাথার ত্বক এবং চুল পরিষ্কার রাখা:
মাথার ত্বক বা চুলে অতিরিক্ত ঘাম বা ময়লা থাকলে সেগুলোর দিকে যত্ন বান  হোন পরিষ্কার রাখুন।

সবশেষে বলবো বেশি মাত্রায় চুল পড়লে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আজেবাজে chemical ব্যবহার করে চুলের সর্বনাশ ডেকে আনবেন না।
মহান সৃষ্টিকর্তা আপনাদেরকে সুস্থ এবং সুন্দর  রাখুন ।

Dr. Khaleda Jahan Jenny 
Diploma in Homeopathy  Medicine & Surgery 
Bangladesh homoeopathic medical college.

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ