Sinusitis symptoms & treatment








sinusitis বর্তমানে এটি একটি কমন ডিজঅর্ডার। সাইনাস দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ।মানুষের নাকের আশেপাশের হাড়গুলোর ভেতরে কিছু ছিদ্র আছে। যা বাতাসে পূর্ণ থাকে এই গহবর বা ছিদ্রগুলোই হল সাইনাস। মূলত দেহের ভিতর বাতাস চলাচলে সাহায্য করে থাকে এই অঙ্গটি একজন মানুষের নাকের আশেপাশে সব মিলিয়ে প্রায় আটটি সাইনাস থাকে সেগুলো হলো maxillary sinus, sphinoid sinus, ethmoid sinus, frontal sinus নামে নাকের দুই পাশে দুইটা সাইনাস আছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হচ্ছে মেক্সিলারি সাইনাস।



যখন কোন কারণে সাইনাসের কোষগুলোতে কোন প্রকার প্রদাহ সৃষ্টি হয় তখন এটাকে সাইনোসাইটিস বলে। নাকের হাড় বাঁকা থাকলে এই সমস্যা হয় আবার এলার্জির কারণেও সাইনোসাইটিসের সমস্যা হতে পারে ।এক্সরে করলে সাইনাসের অঞ্চলটি ঘোলাটে দেখালেই চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন এই সমস্যা।




সাইনোসাইটিসের সাধারণত সাইনাসের ফাপা অংশগুলোতে লিকুইড ফ্লুইড দিয়ে আটকে যায় সেখানে প্রদাহ হয় পাশাপাশি বিভিন্ন জীবাণু বংশবিস্তার করতে পারে । অনেকের আবার ভুল ধারণা মনে করেন যে মাথা ব্যথা হলে সাইনোসাইটিস। আসলে তা কিন্তু নয় মাথাব্যথা অনেক কারণেই হতে পারে।।


সাইনোসাইটিসের কারণ সমূহ :
 সাইনোসাইটিস বিভিন্ন কারণে হতে পারে যেমন-
∆ এলার্জিক রাইনাইটিস
∆নাকের ভেতরের শিরা, মিউকাস মেমব্রেন ফুলে গিয়ে নাকের ভিতর ব্লক তৈরি হওয়া।
∆নাকের পলিপাস।
∆নাকের হাড় বাঁকা হওয়া।
∆ টনসিলাইটিস ও এডিনয়েডস
∆ ডিএনএস বা ডিভিয়েটেড নেজাল সেপ্টাম।



সাইনোসাইটিস এর ধরন:
#Acute sinusitis যার স্থায়িত্বকাল দুই থেকে চার সপ্তাহ।          #Sub acute sinusitis   যার স্থায়িত্বকাল চার থেকে বারো সপ্তাহ। 
 #chronic sinusitis    যার স্থায়িত্বকাল কাল 12 সপ্তাহের ঃ সময় ধরে থাকে।।                 
             সাইনোসাইটিসের লক্ষণে যদি কেউ ১২ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ভুগে থাকেন তখন তাকে ক্রনিক সাইনোসাইটিসের রোগী হিসেবে ধরা যেতে পারে। যেকোনো বয়সের মানুষের এটা হতে পারে এ লক্ষণগুলো হল-
১.নাক বন্ধ হওয়া।
২. মাথা ধরা বা মাথা ব্যথা ।
৩.সর্দি ঝরতে পারে
 ৪.সাইনাসের মধ্যে পুঁজ জমতে পারে 
৫.টিউমার হতে পারে।
৬. ঘ্রাণশক্তি কমে যাওয়া 
৭. নিঃশ্বাসের সময় ব্যতিক্রমী ঘ্রাণ পাওয়া 
৮. সাইনাস গুলির ঠিক উপরেও চাপ চাপ ব্যথা থাকে ।
৯. খাবারের স্বাদ বা রুচি নষ্ট হয়ে যাওয়া ।
১০. মানসিক অবসাদ
 ১১. জ্বর ভাব। গায়ে ম্যাজ ম‌্যজ করা ।
১২.মাথার সামনের অংশে ব্যথা করা ।
১৩.মুখে ব্যথা মুখে ভার ভার অনুভব হওয়া 
১৪.সর্দি জ্বর ও কাশি হওয়া।
চিকিৎসা ও প্রতিরোধ :
কথায় আছে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধী উত্তম সুতরাং প্রতিরোধের জন্য যা করতে হবে--
  • ধুলোবালি থেকে দূরে থাকুন।
  •   ঠান্ডা না লেগে যায় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
  • পুষ্টিকর খাদ্যাভাস গড়ে তুলুন এবং প্রচুর ভিটামিন যুক্ত খাবার খান, প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খান।
  • সরাসরি ফ্যানের নিচে বা এসি  বরাবর থাকবেন না বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর সময় সতর্ক থাকুন।
  • গরম ভাপ বা মেন্থলের ভাপ নিতে পারেন এর মাধ্যমে দ্রুত শ্লেষ্মা বের হয়ে সাইনাসের সমস্যায় দ্রুত উপশম দেয়।
  • ধূমপান থেকে দূরে থাকুন। বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করুন।
  • সাইনাসের সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন।

                Dr.Khaleda Jahan Jenny

Bangladesh homoeopathic medical college & hospital. Dhaka.

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ