কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন জেনে নিন প্রতিকারও সমাধান
কোষ্ঠকাঠিন্য একটি কমন সমস্যা যেটা কিনা শিশু কিংবা বৃদ্ধ সব বয়সী মানুষই কোষ্ঠবদ্ধতায় ভুগতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য বলতে বোঝায় সাধারণত এক থেকে দুই দিন পর পর মলত্যাগের বেগ হওয়া এবং শুষ্ক ও কঠিন মলত্যাগ। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে তার সমাধান করার পরিবর্তে যাতে না হয় সেভাবেই চলাই শ্রেয়।।
বিভিন্ন কারণে মানুষের দেহে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় কোষ্ঠকাঠিন্যের সচরাচর উৎস হলো আশ যুক্ত খাবার এবং শাকসবজি কম খাওয়া, পানি কম খাওয়া, কায়িক পরিশ্রমের অভাব, দুশ্চিন্তায় ভোগা। অন্ত্রনালীতে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, মস্তিষ্কের টিউমার, দীর্ঘদিন শয্যাশয়ী থাকা।
বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, এছাড়াও ঋতু পরিবর্তনে ও কখনো কখনো কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। যারা অতিরিক্ত চা বা কফি পান করেন তাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্ভাবনা বেশি। চর্বি ও আমিষ জাতীয় খাবার বেশি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের আশঙ্কা আছে। পানি কম পান করাও এই সমস্যার জন্য দায়ী হতে পারে।
জটিলতা:
কোষ্ঠকাঠিন্য একটি শারীরিক বিশৃঙ্খলা অবস্থা এই কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন এনিমিয়া বা রক্তশূন্যতা, অবসাদ বা ক্লান্তি ,অনিদ্রা, চোখে ব্যথা, মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা, চোখের নিচে কালি পরা, কোমর ব্যথা, মনোযোগ হ্রাস পাওয়া, ক্রমান্বয়ে আলস্য বৃদ্ধি পাওয়া।
কোষ্ঠকাঠিন্যের তীব্রতার সাথে সাথে জটিলতা বাড়তে পারে যেমন বিভিন্ন চর্মরোগ, মুখে ঘা মেছতা, ক্ষুধামন্দ াা, মুখে দুর্গন্ধ, পেটে গ্যাস ইত্যাদি।
আপাতদৃষ্টিতে কোষ্ঠকাঠিন্য জটিল রোগ না হলেও এর প্রতিকার না হলে এটি জটিল সমস্যায় রূপ নিতে পারে যেমন প্রস্রাবের সমস্যা, পাইলস, এনাল ফিসার, রেক্টাল প্রলাপ্স বা হতে পারে খাদ্যনালীতে প্যাচ লেগে যেতে পারে বা খাদ্যনালীতে আলসার বা ফুটো তৈরি হতে পারে। আর কোষ্ঠকাঠিন্য মানুষের মনে প্রচন্ড চাপ ও অশান্তির সৃষ্টি করে।
প্রতিকার ও সমাধান
- কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে অনেকে মল নরম করার ওষুধ ব্যবহার করেন তেমন লেক্সিটিভ। এছাড়া মলদ্বারে ব্যবহার করার ওষুধ প্রয়োগ করে থাকে যেমন সাপোজিটারি গ্লিসারিন। এগুলো সাময়িক সময় রোগীকে আরাম প্রদান করলেও দীর্ঘদিন ব্যবহারে স্বাভাবিকভাবে মলত্যাগের অভ্যাস নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের মূল কারণ অপসারণ করতে হবে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে
- নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে
- ইসব গুলের ভুসি এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে পান করতে পারেন ।
- নিয়মিত কিছুদিন গুড়ের শরবত পান করতে পারেন।
- বেলের শরবত বেশ উপকারী পান করতে পারেন।
- আশ যুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে নিয়মিত।
- কোষ্ঠকাঠিন্য জটিল হলেও বেশি দিন স্থায়ী হলে হোমিও ঔষধ লক্ষণ অনুসারে সেবন করতে পারেন।
- সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন