জেনে নিন আপনি IBS আক্রান্ত নন তো? (Dr. Khaleda Jahan Jenny)





IBS : This is a functional disorder.

 IBS কি? IBS বা irritable bowel syndrome হল পরিপাকতন্ত্রের একটি ফাংশনাল ডিজঅর্ডার। এখানে পরিপাকতন্ত্রের কোন গঠনগত পরিবর্তন হয় না। আইবিএস খাদ্যনালী বা অন্ত্রের একটি রোগ ।এখনো পর্যন্ত এর প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। পরিপাক নালীর অস্বাভাবিক সংকোচন,-প্রসারণ, স্নায়ুর সংকেত জনিত সমস্যা, উদ্বেগ ও মানসিক চাপ, পরিপাকতন্ত্রের সহজাত উপকারী ব্যাকটেরিয়ার পরিবর্তন, মাদক গ্রহণ, হরমোনাল ইমব্যালেন্স, পেটে যে কোন অপারেশন এবং দীর্ঘকাল ধরে এন্টিবায়োটিক সেবন ইত্যাদি কারণ শনাক্ত করা হয়েছে এর পেছনে।

এ রোগের কারণে মূলত দুই ধরনের সমস্যা হয় একটি হল পেটে ব্যথা অনুভব করা অন্যটি হলো মলত্যাগের অভ্যাস পরিবর্তন।

উপসর্গ-পেট ব্যথা, পেট ফাঁপা ,মলের সঙ্গে আম যাওয়া, ডায়রিয়া ,কনস্টিপেশন, ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমন্বয় ইত্যাদি। কোন রোগীকে আইবিএস হিসেবে শনাক্ত করতে হলে এ লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্তত দুটি লক্ষণ তিন মাস পর্যন্ত উপস্থিত থাকতে হবে এ ছাড়া অন্য যেসব লক্ষণ থাকতে পারে সেগুলো হল পেটে অত্যাধিক গ্যাস, বুক জ্বালা, বদহজম, মল ক্লিয়ার না হওয়া, পেটে ব্যথা হলে মলত্যাগের খুব তাড়া, পেটে ব্যথা সহ পাতলা পায়খানা ,শারীরিক অবসাদ এবং দুর্বলতা, মাথাব্যথা ,পিঠে ব্যথা ,কোমরে ব্যথা, ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ, নারীদের ক্ষেত্রে মাসিক চলাকালীন কিংবা মিলনের সময় ব্যথা। সুস্থ মানুষ দিনে একবার- দুইবার মল ত্যাগ করেন কিন্তু আইবিএস আক্রান্ত রোগীর দিনে ও রাতে ৮ থেকে ১০ বার কখনো বা তারও বেশি।

আইবিএস সাধারণত তিন টাইপের হতে দেখা যায় 

টাইপ 1. IBS c এই ধরনের আইবিএস এর রোগীরা সাধারণত কনস্টিপেশনে ভোগেন। 

টাইপ 2. IBS D এই টাইপের রোগীরা সাধারণত পেটে ব্যথা সহ ঘনঘন ডায়রিয়ায় ভোগেন। 

টাইপ 3. IBS m এই টাইপের রোগীরা কোষ্ঠবদ্ধতা এবং ডায়রিয়া দুইটার মিক্স অর্থাৎ মিশ্র সমস্যায় ভোগেন।




রোগ নির্ণয়: আই বি এস এর রোগীর লক্ষণ দ্বারা সাধারণত আইবিএস চিহ্নিত করা হয়। রোগীকে সাধারণত নিম্নোক্ত প্যাথলজিক্যাল টেস্ট গুলো করতে দেয়া হয়

1.stoo(R/M/E)

2.Abdomen Ultrasound

3.Endoscopy

4. X-ray 

তবে আইবিএস রোগীর ক্ষেত্রে এসকল প্যাথলজিক্যাল রিপোর্টে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায় না।

কিভাবে বুঝবেন আপনার আইবিএস আছে??

আইবিএস এর কারনে মূলত দুই ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় একটি হল পেটে ব্যথা অন্যটি হল মলত্যাগের অভ্যাস পরিবর্তন। পেটের ব্যথা সাধারণত মলত্যাগের পর চলে যায় বা কমে যায়। তবে সমস্যাটি খাদ্যাভ্যাসের সাথে জড়িত কিছু খাবার খেলে সমস্যা বেড়ে যায়। এটা একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম। কিন্তু দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার এবং শাকসবজি ও সালাতের মত খাবারে সাধারণত বেশি বাড়ে। 

তবে ভাল বিষয় হল এটা মারাত্মক কোনো রোগ নয় এ থেকে বড় কোনো জটিলতা হওয়ার আশঙ্কা নেই।




চিকিৎসা: রোগের লক্ষণ অনুযায়ী খাদ্যাভ্যাস এ কিছু পরিবর্তন এনে তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। যেসব খাবারে রোগীর রোগ লক্ষণ বারে সেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। মানসিক চাপ কমাতে হবে, অতিরিক্ত ভাজাপোড়া ,জাঙ্কফুড এড়িয়ে চলতে হবে ।পেট ভর্তি করে একসঙ্গে অনেক খাবার না খেয়ে নির্দিষ্ট সময় পরে অল্প অল্প খাবার খেতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে ।যোগব্যায়াম বা মেডিটেশন করুন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে রাত্রি জাগরন থেকে বিরত থাকতে হবে।

হোমিও সমাধান: আইবিএস রোগীদের চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা যেসব মেডিসিন প্রাথমিকভাবে ব্যবহার করে থাকেন সেগুলো হলো Merc sol, Merc Cor, Nux v, Arg Nit, Asafoetida, Colocynth, ,Lil tig, Lyco, Nat c , Podo, Sulph, Puls, Psorinun, Silicea, Thuja , Nat ph, Carbo veg সহ আরো অনেক ঔষধ লক্ষণ সাদৃশ্য দেওয়া যেতে পারে। সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।

 Dr. Khaleda Jahan Jenny 

01940382900 (WhatsApp)




মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ