Acidity (Dr. Khaleda Jahan Jenny)

Acidity তে ভুগছেন??

 Acidity বা গ্যাস্ট্রিক হল পাকস্থলীতে এসিডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া এবং অবশেষে ক্ষত সৃষ্টি করা। অতিরিক্ত ঝাল মসলাযুক্ত খাবার ভাজাপোড়া জাতীয় খাবারে এটি বেশি হতে পারে। কারণ এসব খাবার কে হজম করতে অতিরিক্ত এসিডের দরকার হয়।


আজকাল অহরহ এসিডিটি রোগী প্রায়শই দেখতে পাওয়া যায়।

শিশু বৃদ্ধ যুবক কেউ বাদ নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই সমস্যায় ভোগ আর পেছনে আমরা নিজেরাই অনেকাংশের দায়ী। চেম্বারে আসা সকল রোগীদের ই যে কোন সমস্যার সাথে এসিডিটি থাকবেই। খুব কম রোগের মধ্যেই এসিডিটি থাকে না।



 আমাদের পাকস্থলী সবসময় অম্ল বা এসিড নিঃসরণ করে এটা আমাদের গৃহীত খাদ্যদ্রব্য হজমে সহায়ক। এই এসিড আমাদের গৃহীত খাদ্যদ্রব্য ভেঙে চূর্ণ-বিচনা করে হজম করে ।কিন্তু এটা যখন মাত্রাতিরিক্ত তৈরি হয় তখন তাকে এসিডিটি বা অম্লতা বলে  । অজীর্ণ বা বুক জ্বালাপোড়া ও আলসার হয় এমন অবস্থা চলতে থাকলে। ডায়েটিশিয়ানরা এজন্য খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন অসময়ে অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস পরিত্যাগ করে নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়া-দাওয়া ও নাস্তা করুন তাহলে পেটে অম্লতা হবে না অস্বস্তিতে ভুগবেন না ।

মূলত এসিডিটির প্রধান কারণ হচ্ছে দীর্ঘ সময় ধরে না খেয়ে থাকা, অতিরিক্ত চা কফি পান করা ,বেশি বেশি ভাজাপোড়া খাওয়া, তৈলাক্ত খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া। মসলা জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া ইত্যাদি।

 

 

ধূমপান, মদ্যপান, দুধ চা, কফি এবং অ্যাসপিরিনের মতো ওষুধ এড়িয়ে চলুন

ধূমপান, মদ্যপান, দুধ চা, কফি এবং অ্যাসপিরিনের মতো ওষুধ এড়িয়ে চলুন


যখন ই এসিডিটির সমস্যা বোধ করবেন তখনই চেষ্টা করবেন ঠান্ডা পানি খাওয়ার জন্য। 

এই সময়টাতে কোমল পানীয় বর্জন করাই উচিত। 

চা কফি এড়িয়ে চলুন ।

সাইট্রাস ফল এড়িয়ে চলাই ভালো।

 ঘন ঘন গ্যাসের সমস্যা হলে তরমুজ এবং কলা খেতে পারেন।

আদা কিন্তু এসিডিটি রোগীদের জন্য পরম বন্ধু সুতরাং আদা গুঁড়ো করে খেতে পারেন বা আদা চিকন চিকন করে কেটে খেতে পারেন

কারো কারো ক্ষেত্রে  শশা বেশ উপকার সাধন করে।

ধূমপান, মদ্যপান এবং খেয়াল খুশিমতো ওষুধ সেবন করা থেকে বিরত থাকুন।

নিজেকে অযথা স্ট্রেস থেকে দূরে রাখুন অতিরিক্ত টেনশন বা মানসিক চাপ নিবেন না।

ইয়োগা করতে পারেন শারীরিক এবং মানসিক প্রশান্তির জন্য।

ডাবের পানি পেটের গ্যাস নিয়ন্ত্রণ করতে খুব কার্যকরী। মাঝে মাঝে বা প্রতিদিন এটা পান করতে পারেন।

অসময়ে এবং অনিয়মিত আহার গ্রহণ করবেন না সময় মত খাবার গ্রহণ করবেন।

রাতে ঘুমানোর কমপক্ষে ২ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার গ্রহণ  করুন । খেয়েদেয়ে সাথে সাথে শুয়ে পড়বেন না।

অতিরিক্ত ঝাল মসলাযুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকুন।

দীর্ঘ সময় অনাহার থাকবেন না।

রান্না করার সময় খাবারে বেশি তেল ব্যবহার করবেন না।

প্রতিদিন নিয়মিত কিছুক্ষণ হাটার অভ্যাস করুন এতে দেহ মন শরীর সব ভালো থাকবে ইনশাআল্লাহ।

সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন আপনাদের সকলের মঙ্গল কামনা করছি ।

আল্লাহ হাফেজ।

                Dr. Khaleda Jahan Jenny

Bangladesh homoeopathic medical college Dhaka 




মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ