Tumour
Tumour হলো কিছু অস্বাভাবিক টিস্যুর সমাবেশ , যেখানে কোষগুলো অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সংখ্যা বৃদ্ধি করে।।
আর টিস্যু মানে একই ধরনের কিছু কোষ যখন কোথাও এক হয়ে একই ধরনের কাজ করে।
শরীরের অতিরিক্ত এবং অস্বাভাবিক কোষগুলো কোথাও একত্রে জমা হয়ে একটি লাম্প বা চাকতির মতো হয়ে প্রকাশ পেলে তাকে টিউমার বলে।
টিউমারের ধরন
টিউমার সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে একটি হচ্ছে বিনাইন টিউমার অপরটি হচ্ছে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার বা ক্যান্সারাস টিউমার।
বিনাইন টিউমার তুলতুলে নরম হয় ও খুব আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পায় ।এর কোন আবরণ থাকে না। এর উপরের চর্ম আলাদা বা পৃথক মনে হয় । এ টিউমারের সংলগ্ন গ্রন্থিসমূহ আক্রান্ত হয় না। চাপ দিলে এতে কোন যন্ত্রণা অনুভূত হয় না।
আর ম্যালিগন্যান্ট টিউমার গুলো নিরেট বা শক্ত হয়। এটা খুব দ্রুত বড় হয়। এতে আবরণ থাকে। এটার উপরের চর্ম আলাদা বা পৃথক মনে হয় না। এ টিউমারের সংলগ্ন গ্রন্থিসমূহ আক্রান্ত হয়। ম্যালিগন্যান্ট বা ক্যান্সার জাতীয় টিউমারের যন্ত্রণা অনুভূত হয়। এতে চাপ দিলে যন্ত্রনা অনুভূত হয়।
বিনাইন টিউমার গুলো শুধু এক জায়গাতে বৃদ্ধি পেয়ে এক জায়গাতেই বসে থাকে এরা তেমন ক্ষতিকারক নয়।
আর ম্যালিগন্যান্ট টাইপের টিউমার হল অস্বাভাবিক কোষগুলো রক্ত কিংবা লিম্ফ নামক কিছু রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে শরীরে অন্য কোন অংশে গিয়ে জমা হয়ে সেই অংশের স্বাভাবিক কাজে ব্যাঘাত ঘটিয়ে নতুন কোন টিউমার তৈরি করে সেখানে।
অনিয়ন্ত্রিত কোষ বৃদ্ধি টিউমার সৃষ্টি করে ।জেনেটিক ত্রুটির সবথেকে সম্ভাব্য কারণ। শরীরের উপর কোন রাসায়নিক প্রভাবের বা তেজস্ক্রিয় বিকিরণ এর ফলে জেনেটিক মিউটেশনের জন্য টিউমার হতে পারে ।আবার প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেল অন্যান্য রোগের মত শরীরের যে কোন অংশ আক্রান্ত হতে পারে ।
সব টিউমারি ম্যালিগন্যান্ট বা ক্যান্সার গ্রস্ত হয় না অনেক টিউমার ক্ষতি না করে শরীরে তৈরি হয় ও রয়ে যায়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন