Leukoderma বা শ্বেতী রোগ ( Dr Khaleda Jahan Jenny)



Leukoderma or  vitiligo is a disorder that causes the skin to loss its colour. specific causes are unknown but studies suggest a link to immune system


লিউকোডার্মা বা শ্বেতী রোগ  হলো মানুষের শরীরের ত্বকের বিভিন্ন স্থানে রং উৎপাদনকারী কোষ বা মেলানোসাইট রোগ আক্রান্ত হলে বা সংখ্যায় কমে গেলে অথবা মরে গেলে মেলানিন নামক ত্বকের রঞ্জক রং তৈরি বন্ধ হয়ে যায় এবং ওই নির্দিষ্ট স্থানের সাদা সাদা দাগ পড়ে  যাওয়া।

কারণ -
রোগের কারণ এখনো জানতে পারা যায়নি ।
বিশ্বে প্রায় দশ কোটি মানুষ বর্তমানে এ  রোগে আক্রান্ত।
শ্বেতী কোন ছোঁয়াচে রোগ নয় বা প্রাণঘাতী রোগ নয়।

শ্বেতী বা ধবল রোগ বংশগত কারণে হতে পারে প্রতি ১০০ জন শ্বেতী রোগীদের মধ্যে ৩০ জনের ক্ষেত্রেই শ্বেতী হয় বংশগত ধারায় জিনের প্রভাবে। বাকি ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে শ্বেতী সাদা দাগ ছড়াতে থাকে নিজস্ব কারণে, যার মূলে দায়ী হলো মেলানিন।


সাধারণত মুখমণ্ডল, কনুই, বুকের ত্বক প্রথমে আক্রান্ত হতে শুরু করে। কখনো কখনো শ্বেতী চোখের পাশ দিয়ে, নাকের দুই পাশে বা ঠোঁটের কোণ বা ওপরের ত্বকেও শুরু হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে শ্বেতী খুব একটা ছড়ায় না, একটা বিশেষ জায়গাতেই সীমাবদ্ধ থাকে। আবার কারও এমনভাবে মুখে, বুকে, হাতে, পায়ে ছড়িয়ে পড়ে যে বোঝাই যায় না একসময় গায়ের রং আসলে কী ছিল!
 ত্বক বিশেষজ্ঞরা উডস ল্যাম্প নামক ্একটি যন্ত্র দিয়ে ত্বক পরীক্ষা করলে দুধের বা চকের মত সাদা চকচকে ত্বক দেখা যায় তখন একে শ্বেতী বলে ধরা যায়।

শ্বেতী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মানসিক চাপ   কমাতে হবে। মানসিক চাপ লোকটিকে ত্বকের অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করে। কেননা মানসিক চাপ মানুষের ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে দেয়। আর শ্বেতী রোগ যেহেতু অটো ইমিউন ডিজিজ সুতরাং এর সঙ্গে অন্যান্য অটো ইমিউন ডিজিজের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। যেমন পরিপাকতন্ত্রের কিছু সমস্যা থাইরয়েড বা টাইপ -১ ডায়াবেটিস ইত্যাদি তাই অন্যান্য অঙ্গ প্রতঙ্গের সমস্যার দিকেও বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে।

তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যে এই মেলানিন সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষা দেয় শ্বেতী রোগীদের ত্বকের এই সুরক্ষা নেই বলে রোদে বের হওয়ার আগে ছাতা এবং সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করতে হবে

অনেকেই শ্বেতী রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে হলুদের গুঁড়ো ও সরষের তেলের মিশ্রণ ব্যবহার করে থাকেন এতে তেমন কোনো ক্ষতি নেই। এছাড়া তুলসী বা পুদিনা পাতা পিষে তা লেবুর রসে মিশিয়ে পেস্ট করে অনেকে ব্যবহার করেন।

শ্বেতী রোগ এর আরেকটি কারণ হলো কপারের ঘাটতি। বাদাম বীজ এবং সবুজ সবজি তামা সমৃদ্ধ খাবার তামার পাত্রে সংরক্ষণ করা পানি পান করে আপনি উপাদানটির ঘাটতি পূরণ করতে পারেন

আয়রনও দস্তা সমৃদ্ধ খাবার ও গুরুত্বপূর্ণ । বাদাম বীজ ও সবুজ শাকসবজি দস্তা সমৃদ্ধ খাবার।
ক্যাফেইন, ডার্ক চকলেট, গ্লুটেন দুগ্ধ বা দুগ্ধ জাত পণ্য, সাদা চিনি এবং সাইট্রাস ফলের মতো কিছু সাধারণ খাবার শ্বেতী রোগ কে বাড়িয়ে তুলতে পারে। রোগীক অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে কোন কোন খাবারে তার এ রোগটি বাড়ে সে খাবারটি কে অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে।
আখরোট, পেঁপে বেশি করে খাবেন। ভিটামিন বি, সি এবং এমাইনো এসিড সমৃদ্ধ এবং সুষম স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যামাইনো এসিড পেতে প্রোটিন সমৃদ্ধযুক্ত খাবার খান।


শ্বেতী রোগ নিয়ে ভালো থাকতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো স্বাস্থ্যকর জীবন ধারা বজায় থাকা। সুতরাং বিশুদ্ধ পরিষ্কার পানি প্রচুর পরিমাণে পান করুন, সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন ,ব্যায়াম  করুন ,পর্যাপ্ত ঘুমান। সে ই সাথে  একজন দক্ষ এবং চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করুন।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ