Rheumatoid arthritis (Dr. Khaleda Jahan Jenny)
Rheumatoid arthritis হলো একটি অটো ইমিউন ডিজিজ। একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সী প্রায় এক লক্ষ মানুষের মধ্যে আটজনের মধ্যে এই রোগ দেখা যাচ্ছে।
এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন যে কেন এই রোগটি হয় এটা সঠিকভাবে জানা যায় না তবে দেখা গিয়েছে যে পরিবেশগত কিছু কারণে এরম হয়ে থাকে কিছু ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস এ রোগের আশঙ্কা বাড়ায়।
Rheumatoid arthritis এমন একটা অবস্থা যাকে গাঁটে এবং খাটের চারপাশে প্রদাহ বা ফোলা, গাটে ব্যথা এবং অন্যান্য উপসর্গ দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়। এটা একটা অটো ইমিউন ব্যাধি যেখানে স্বাস্থ্যবান টিস্যু গুলোকে বিদেশি শরীর মনে করে তাদের আক্রমণ করে।
Rheumatoid arthritis হাতের পায়ের কনুইয়ের হাঁটুর কব্জির এবং গোড়ালির গাটকে প্রভাবিত করে। এই অবস্থাটা কার্ডিওভাসকুলার বা শ্বসন তন্ত্রের মাধ্যমে ছড়ায় যে কারণে এটাকে সিস্টেমেটিক ডিজিজ ও বলা হয়।।
Rheumatoid arthritis এর লক্ষণ ও উপসর্গ:
অ্যানিমিয়া
- শুকনো চোখ এবং মুখ
- শক্ত মাংসপিণ্ড কনুইতে হাতে হাঁটুতে এবং অন্যান্য গাটের।
- ভোর বেলায় আড়ষ্টতা যেটা পুরো দিন ক্রমাগত গাঁটে নড়াচড়ার ফলে কমে যায়।
- বেদনাদায়ক জয়েন্ট। জয়েন্টে লাল ভাব এবং ফোলা ।
- বুকে ব্যথা।
- জ্বর ও ওজন কমে যাওয়া ।
- এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন যে কেন এই রোগটি হয় এটা সঠিকভাবে জানা যায় না তবে দেখা গিয়েছে যে পরিবেশগত কিছু কারণে এরকম হয়ে থাকে কিছু ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস এ রোগের আশঙ্কা বাড়ায়।
- জিনের পরিবর্তন
- বংশগত কারণ
- সংক্রমণ
- হরমোনের সমস্যা বা হরমোনের পরিবর্তন
- মানসিক হতাশা
- ধূমপান
- প্রদুষকের সংস্পর্শে আসা
Rheumatoid arthritis এর diagnosis
- X-rays
- MRI scans
- CRP test
- CBC test
- ESR
- Anti- CCP
১) প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন চিপস, বার্গার, চিজ, পপকর্নের মতো খাবার আর্থ্রাইটিসের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।
২) রেডমি জাতীয় খাবার খাবেন না কারণ এ ধরনের খাবারে ফ্যাট বেশি থাকে, এই ধরনের খাবার ব্যথা বাড়িয়ে দেয়।
৩) ওমেগা ৬ জাতীয় খাবার যেমন সয়াবিন মাংস বাদাম ভুট্টা ইত্যাদি হারে ব্যথা বাড়িয়ে দেয়।
৪) rheumatoid arthritis এ রোগীদের কাঁচা নুন খাওয়ার অভ্যাস খুবই ক্ষতিকর কাঁচাল নুনে সোডিয়াম ক্লোরাইড থাকে যা আর্থাইটিসের ব্যথা স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ করে তুলতে পারে।
৫) চিনির শরবত ঠান্ডা পানীয় সোডা দেওয়া ফলের রস এ ধরনের রোগীদের পক্ষে একেবারেই উপকারী নয় এগুলি ছাড়াও এড়িয়ে চলুন ভাজাপোড়া খাবার তেল-ঝাল মসলাদার খাবার ।
এ সকল খাবার সমূহ পরিত্যাগ করতে হবে।
নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে
পুষ্টিকর এবং সুষমা খাদ্য গ্রহণ করতে হবে
মানসিক প্রশান্তির ব্যবস্থা রাখতে হবে রোগীর জন্য
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে
পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হবে।
সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।
Dr. Khaleda Jahan Jenny
Bangladesh homoeopathic medical college and hospital Dhaka
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন